Posts

Showing posts from September, 2018

বাইশটি ভাষার পণ্ডিত ড° মহম্মদ শ্বহীদুল্লাহের বিষয়ে...

Image
প্ৰখ্যাত শিক্ষাবিদ,ভাষাবিদ,লেখক,কবি, অনুবাদক, পণ্ডিত ড° মুহাম্মাদ শ্বহীদুল্লাহের জন্ম হয় ১৮৮৫ সালে । জ্ঞানতাপস তথা চলমান বিশ্বকোষ হিচাবে সুপরিচিত ড° শ্বহীদুল্লাহ সংস্কৃতে অনার্স সহ স্নাতক ডিগ্ৰী লাভ করার পর‌ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু শিক্ষকরা স্নাতকোত্তর শ্ৰেণীতে ওনাকে পড়ানোর জন্য অস্বীকার করায়‌ শেষপর্যন্ত তুলনামূলক দৰ্শন তত্ব বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্ৰী অৰ্জন করেছিলেন । উল্লেখ্য যে তিনি যেকোনো পরীক্ষায় সংস্কৃত ভাষা বা সাহিত্যে সবসময়ই সৰ্বোচ্চ নম্বর লাভ করতেন । পরবর্তী কালে মহম্মদ শহীদুল্লাহ ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের সারবন ইউনিভার্সিটি থেকে ডক্টরেট ডিগ্ৰী লাভ করেন । ঐ ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করা প্রথম মুসলমান ব‍্যক্তি ছিলেন মহম্মদ শহীদুল্লাহ। এরপর তিনি আইনের ডিগ্রিও উপার্জন করেন। ড° মুহাম্মাদ শ্বহীদুল্লাহ বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক ও অধ্যক্ষ হিচাবে প্ৰায় ত্রিশ বছর সেবা করে গেছেন। কয়েক বছর তিনি ওকালতিও করেছেন। জ্ঞানতাপস ড° মুহাম্মাদ শ্বহীদুল্লাহ আরবি, ফার্সি, উর্দু, হিন্দি, বাংলা, সংস্কৃত, ইংরেজি, ফরাসি, পুস্ত, জার্মান, উড়িয়া ইত‍্যাদি ২২ টি ভাষা আয়ত্ত কর

ঈদের ছুটি

Image
আমাদের অফিসের বস জন্মসূত্রে তুরস্কের। ছোটবেলা থেকেই আমিরশাহিতে বড় হয়েছেন। ইংরেজি খুব ভালো বলেন কিন্তু আরবি ছাপটা থাকবেই। সেই যে মাদার টাং ইনফ্লুয়েন্স! অরবিরা যখন ইংরেজি বলে তখন কয়েকটি বিশেষ উচ্চারণ ভঙ্গি শোনা যায় যা হিন্দিভাষী বা ভারতীয়দের থেকে আলাদা ও কৌতুককর। সবচেয়ে হাস‍্যকর আরবি লোকদের ইংরেজি P অক্ষরের উচ্চারণ। আরবিতে 'প' উচ্চারণের কোনো শব্দ নেই তাই আরবরা যুগ যুগ ধরে অনায়াসে 'প' কে 'ব' বলে আসছে। পার্কিংকে বার্কিং, পেপার কে বেবার, পেপসি কে বেবসি ইত‍্যদি। বসকে যখন বললাম, ঈদের ছুটি চাই, মহাশয় আমার দিকে না তাকিয়েই বললেন "ব্লিজ ডোন্ট গো!" মানে - প্লিজ ডোন্ট গো। আমি দুটো নতুন প্রজেক্টে কাজ করছি, তাই বস ছুটি দিতে রাজি নন। জানতাম এমন‌ই বলবেন তাই আমিও ব্ল‍্যান (মানে প্ল‍্যান) করে এসেছিলাম। বললাম, "ঠিক আছে, আমি টিকিট করেছিলাম, ক‍্যান্সেল করে দিচ্ছি তাহলে"। ইমোশনাল ব্লেকমেইল আর কি। এবার বস কম্পিউটারের কিবোর্ড থেকে চোখ তুলে আমার দিকে তাকালেন। ইশারায় বসতে বলে সামনের টেবিলে রাখা কাঁচের গ্লাস থেকে জল খেলেন আর কলিং বেল বাজালেন। উর্দি

স্মৃতিচারণ : আসছে ঈদ

Image
আসামের এক প্রান্তিক গ্রামে আমাদের বাড়ি। বাবা সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। তখন আমার বয়স সবে বারো বছর। গ্রামের স্কুলেই সপ্তম শ্রেণীতে পড়তাম। ঐ বছরের ঈদ ছিল গরমের ছুটির মাঝামাঝি। এবার বাবা ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসছেন। এর থেকে আর আনন্দের কি হতে পারে যখন ঈদের সময় বাবা বাড়ি আসবেন। উনি মধ্যপ্রদেশের নীমাচে থাকতেন। সেনাবাহিনীর ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষক ছিলেন। কোন জরুরী কাজ না থাকলে বছরে এক বার‌ই ছুটি আসা হতো। তাই সারা বছর আমরা ক‍্যেলেন্ডারে হিসাব করতে থাকতাম - আর ক'দিন পর বাবা আসবেন। এবার আকস্মিকভাবে ওনার ছুটি মঞ্জুর হয়ে যায়। বছর ঘুরে আসার আগেই আবার বাড়ি আসছেন বাবা। আমার তো খুশির সীমা ছিল না। খবর তখন পেলাম যখন বাবা ইতিমধ্যে ট্রেনে চড়েছেন। দুদিন পর‌ই পৌঁছে যাবেন। মা খুব ব‍্যস্ত হয়ে গেলেন। সাফ সাফাই, ঈদের আয়োজন সব করতে হবে। আমিও মাকে যথারীতি সাহায্য করা শুরু করলাম। আমার একটিই ছোট ভাই। ওর বয়স তখন আট বছর। প্রতি বছর ঈদে কিন্তু আমরা নতুন জামা কাপড় পেতাম না। বাবা বাড়িতে না থাকলে সবাই মন মরা হয়ে থাকতাম। মা বাজারে গিয়ে কিনে দেবেন এমন সুবিধাও সবসময় হয়ে উঠতো না। ঐ বয়সেও বোঝতে

আপার ডেক রিসর্ট

Image
২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে মুম্বাইয়ে কর্মরত থাকাকালীন এক অফসাইট মিটিংয়ে এক সপ্তাহ কাটিয়েছিলাম মহারাষ্ট্রের লোনাভালায় অবস্থিত আপার ডেক রিসর্টে। এমনিতেই হিল স্টেশন তার উপর ডিসেম্বর মাস। রাতের তাপমাত্রা সম্ভবত ৮/১০ ডিগ্রিতে নেমে যেতো। মুম্বাইয়ে শীত নাই বললেই চলে। কিছুটা অভার কনফিডেন্সের খপ্পরে পড়ে শীতের কাপড় নেইনি। তাই প্রথম দুদিনের মধ্যে জ্বর সর্দি একেবারে কাবু করে ফেলে। শরীর খারাপ হ‌ওয়ায় তৃতীয় দিন থেকে মিটিংয়ের শেষ দিন পর্যন্ত দিনের বেলায় বনে জঙ্গলে পালিয়ে বেড়াতাম । আর রাতের বেলায় বনফায়ারের সামনে বসে স‍্যুপ খেয়ে সর্দি থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার চেষ্টা করতাম। লোনাভালার প্রকৃতি অবিশ্বাস্য সুন্দর। কবি হলে লোনাভালা নিয়ে কবিতা লেখতাম। সেই সময়ে ছবি তোলার খুব শখ ছিল।‌ আমার কাছে নিকন ডি-৫৩০০‌ ক‍্যামেরা ছিল। প্রকৃতির উদার যৌবন লেন্সে ধরার চেষ্টা করতাম রোজ। কমসে কম হাজার খানেক ছবি তোলে ফেলেছিলাম। কয়েকটি ছবি রিসর্টের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজে ট‍্যাগ করেছিলাম। আজ হঠাৎ দেখি রিসর্ট কর্তৃপক্ষ ম‍্যাসেজ করেছেন কয়েকটি ছবি নাকি ওদের খুব পছন্দ হয়েছে আর আমার অসুবিধা না হলে মার্কেটিংয

সারপ্রাইজ 2

Image
ছেলেকে আজ সারপ্রাইজ দিলাম। হুট করে ওর স্কুলে গিয়ে জরুরি কাজ আছে বলে বের করে নিয়ে এলাম। স্কুলের টিফিন বাদ দিয়ে একটি রেস্তোরাঁয় দুপুরের খাবার খেলাম দুজনে। এর পর সারা দুপুর বাপ ছেলে টো টো করে ঘুরে বেড়ালাম। উল্টো পাল্টা শপিং। গৃহিণী খবর পেয়ে বললেন কাজটা নাকি ভালো হয়নি। তিন তিনটে পিরিয়ড মিস‌ হলো। বাপ ছেলে আজ একটু "ডোন্ট কেয়ার" টাইপের স্ট‍্যান্ট মারলাম। বয়ে গেছে আমাদের! পরীক্ষার অনেক বাকি আছে। দেখা যাবে।

বিদেশের পথে

Image
চাকরি জীবন আসলেই বোরিং হয়ে গেছে। একঘেয়ে, স্বাদহীন দশটা পাঁচটা বিরক্তিকর হতে সময় লাগলো মাত্র দু'বছর। আগের দুটো কোম্পানিও প্রথমে খারাপ লাখতো না। কিন্তু মুম্বাইর মতো শহরে মাত্র বিশ একুশ মাসেই বিরক্ত হয়ে পড়ব জানতাম না। সব আছে কিন্তু নতুনত্ব ক‌ই। বড় অঙ্কের বেতন, অতিরিক্ত পার্কস, আর স্বাধীন ভাবে কাজ করার জন্য‌ই এই চাকরির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলাম। দরকার তো ছিলই। ন‌ইলে কতবার নিজেকে বলা হয়ে গেছে - আর নয়, এবার ব‍্যবসা করব। কিন্তু শেষমেশ কি হলো! বোর্ড অব ডিরেক্টরস মিটিংয়ে আমার আইডিয়া শুনে সবাই তালি বাজায় ঠিকই কিন্তু কখনও নতুন প্ল‍্যান রুপান্তরিত হতে দেয়া হয় না। পরিবর্তন কেউ চায় না। আসল কারণ, নতুন একজন যে হুট করে এসে উপরে উঠে যাবে তা কেন হবে? এই রেষারেষি সভ‍্যতার ইতিহাস থেকেও পুরনো। এই ট্রেডিসন সর্বত্র। সত‍্য নাডেলা হোন বা সুন্দর পীচাই, কর্পোরেট জগতে উপরে উঠার সিঁড়ি সবার কাছেই এক‌ই ভাবে কন্টকাকীর্ণ ও বিষধর। সিঁড়ির সাথে সাপ তো থাকবেই। আরম্ভ ভালোই ছিল। কোম্পানির মালিকের মার্কেটিং এসিস্ট্যান্ট হ‌ওয়া শুনতে বেশ লাগে। যেমন ভেবেছিলাম প্রথম দিকে তেমন‌ই ছিল মোটামুটি। কিন্তু ধীরে

এন‌আরসি: ষড়যন্ত্রের সাত কাহন

Image
এন‌আরসি যে এক পরিকল্পিত রাষ্ট্রিয় ষড়যন্ত্র তা বোঝা আর কঠিন র‌ইল না। উগ্র জাতীয়তাবাদী অসমিয়ারা আগে থেকেই দাবি করে আসছে আসামে পঞ্চাশ লাখ এমন কি এক কোটিরও বেশি বাংলাদেশী আছেন। অসমিয়াদের কাছে বাংলাদেশী মানে মিঞা, বাংলাদেশী মানে দাঁড়ি টুপি থাকা মুসলমান এমনকি বাংলাদেশী মানে হিন্দু বাঙ্গালী হলেও আপত্তি নেই। 'আসাম অসমিয়াদের' এটাই যাদের স্লোগান তারা তো প্রত‍্যক্ষভাবে সার্বভৌম সংবিধানের বিরোধীতা করছে। এর পর‌ও বাঙ্গালীদের মধ্যে বেশিরভাগ, বিশেষ করে মুসলমানদের ভরসা ছিল এই এন‌আরসির উপর। যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে চলছে তবে এই প্রক্রিয়া হোক। কিন্তু শুরু থেকেই একে একে যা চলছে তা দেখে প্রক্রিয়াগত নিরপেক্ষতার উপর প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক। সুপ্রিম কোর্ট সমালোচনার উর্ধ্বে কি না জানি না কিন্তু এসব প্রশ্নের উত্তর দেবে কে? ১) ডি ভোটার আর তাদের পরিবারের সদস্যদের নাম উঠবে না এটা সবচেয়ে বড় চক্রান্ত। হাই কোর্টের এক মামলার রায়ের উপর ভিত্তি করে হাজেলা সাহেব এমন সময় এই ফরমান জারি করেন যখন সুপ্রিম কোর্টে গরমের বন্ধ চলছে। স্মার্ট মুভ! ইমারজেন্সি হিয়ারিং থাকলেও সুপ্রিম কোর্ট এনিয়ে