এক মুঠো ভাত
১. খালেক মিয়া এবার বর্ষা শুরু হতেই দুটো বলদ কিনে ফেললেন। ছেলে বড় হয়েছে তাই এখন আর চিন্তা নেই। এবার সাত বিঘা জমি বন্ধক নিয়েছেন। নিজের জমি বলতে এক চিলতে বাড়ির মাটি আর ছোট্ট একটি পুকুর ছাড়া মা-বাপ কিছুই রেখে যাননি। তাই অন্যের জায়গা বন্ধক নিয়ে চাষ করেই পেট পালতে হয়। প্রকৃতি উদার থাকলে চাষ ভালো হয় আর মোটামুটি বছর চলে যায়। কিন্তু ধান কম ধরলে মজুরি করে কোনোমতে দিন গুজরান করতে করতেই বছর শেষ হয়। শুরু হয় পরের বছরের জন্য পরিকল্পনা আর স্বপ্ন দেখা। সেই বাইশ বছর বয়স থেকে খালেক মিয়া চাষবাসের উপর ভর করেই বউ আর এক ছেলের ভরণপোষণ করে যাচ্ছেন। ছেলেটা বড়ো হয়ে আসছে। দু'বছর পর মেট্রিক দেবে। কিন্তু খালেক মিয়ার ইচ্ছে ওকে চাষবাসের কাজে ঢুকিয়ে দিতে। পড়াশোনা করে কি আর হবে। এর থেকে সময় থাকতে শিখে নিক। অন্তত ভিক্ষা করতে হবে না। এবার আর হালিচারা করা গেল না। তাই কিনে এনে রোপণ করা ছাড়া উপায় নেই। পাশের বাড়ির আকরাম আলীর সঙ্গে চারার ব্যাপারে কথা হয়ে গেছে। এবার বন্যা নাহলেই হয়। খালেক মিয়া মিষ্টি কুমড়োর তরকারি আর পাঞ্জাব চালের ভাত খেয়ে সাদেকের মার পাশে শুয়ে পড়ে কিন্তু ঘুম আসে ন...